খেলা নিয়ে আমার আগ্রহ কমই বলা চলে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল দেখেছি। এ নিয়ে হলের শিক্ষার্থীদের তো বটেই অন্যান্যদেরও প্রবল আগ্রহ-উত্তেজনা দেখেছিলাম। সেসময় লিখেছি- ‘বিশ্বকাপ জ্বরে বিশ্ব যতটা কাঁপছে আমি ততটা স্থির। বিশ্বকাপের জ্বর আর জোয়ার যাই বলি আমাকে কিন্তু কোনোটাই স্পর্শ করেনি।’ অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে খেলার কিছুই আমি জানি না। আমি হয়তো বসে বসে প্রতিটা বল দেখি না। কিংবা ইন্টারনেটে ইএসপিএন ক্রিকইনফো'র লাইভ স্কোর খুলে বসে থাকি না। কিন্তু ফলাফলটা ঠিকই জানি। কারও বড় অর্জন থাকলে সেটাও চোখ এড়ায় না। হাল আমলে এসব না জানা মানে ব্যাকডেটেড। আর বিশ্বের কাছে আমাদের পরিচয় তুলে ধরার এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম নিসন্দেহে।
তবে আমার মত কম আগ্রহীদের জন্য সুবিধার কথা হলো সংবাদমাধ্যম খেলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে অন্তত যারা নিয়মিত পত্রিকা পড়েন কিংবা টিভি-চ্যানেলে খবর দেখেন খেলার কোনো বিষয়ই তাদের জানার বাকী থাকার কথা নয়। অবশ্য আমার আজকের লেখার বিষয় খেলা নয়, অন্য কিছু। তারপরও লেখার শিরোনামটা খেলার পরিভাষা ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ কেন সে বিষয়ে পরে আসছি।
ডাবল সেঞ্চুরি একটি ক্রিকেটীয় পরিভাষা। সাধারণ কোনো পরিভাষা নয়। সম্মানের। এক ম্যাচে ২০০ শত রান করা এত সহজ নয়। কেউ করলে সেটা রেকর্ড হয়ে যায়। ইন্টারনেট জানাচ্ছে- এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২ বার এ রেকর্ড করেছেন ক্রিকেটের কিংবদন্তী অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। এরপর রয়েছেন ওয়েস্টইন্ডিজের ব্রায়ন লারা। তার রেকর্ড ৯ বার। এভাবে নিচের দিকে শচীনসহ অনেকেরই রেকর্ড রয়েছে। বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারেরই এ গৌরব আছে। মুশফিকুর রহিম। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে এ বছরের ১১ মার্চ তিনি এ রেকর্ড করেন। তবে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরিধারী তিনজনের সবাই ভারতীয়- শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র সেহবাগ ও রোহিত শর্মা।
ডাবল সেঞ্চুরিধারীরা প্রত্যেকেই ক্রিকেটের তারকা। তাদের রেকর্ডের সঙ্গে এই লেখার কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও বলি- লেখাটা যখন পড়ছেন একটু নীচের দিকে তাকান। পোস্টটি শেষ হওয়ার পরই লেখকের নামের পর ব্র্যাকেটে একটা সংখ্যা আছে। সংখ্যাটি ২০০। মানে আমার এই সাইটে এটি আমার ২০০তম পোস্ট। এই সংখ্যাটিই ধরেই শিরোনাম হলো ডাবল সেঞ্চুরি। এ সংখ্যাটা কেবল সাইটের পরিসংখ্যানই দিচ্ছে না, মোটামুটি আমার লেখালেখির কলেবরও প্রকাশ করছে। একে আমার আমালনামাও বলা যায়। যেটি আমাকে উপস্থাপন করছে।
সাইটের টাইম মেশিনটা ফেব্রুয়ারি ২০১০ দিয়ে শুরু। তার মানে এই নয় ঐদিন থেকেই আমার লেখালেখি শুরু। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে বলা যাবে। লেখালেখির সঙ্গে সঙ্গে তার সংরক্ষণের কথা বলি। ২০০৭ সালেও আজকের মত ইন্টারনেটে অবারিত সুযোগ ছিলো না। তখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর নিজস্ব কম্পিউটার না থাকায় ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যম ছিলো টিএসসির সাইবার সেন্টার। ৬০ টাকা দিয়ে কার্ডে সেখানে ৫ ঘন্টা কাজ করা যেতো। পরে অবশ্য আমাদের সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর পত্রিকা শাখার সঙ্গে হাকিম চত্বরে আরেকটি সাইবার সেন্টার হয়। এর বাইরে নীলক্ষেতও ছিলো তবে সেটা আরও দামি। আমি তার চেয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলকেই বেছে নিয়েছিলাম। সেখানকার সদস্য হিসেবে প্রতিদিন আধা ঘন্টা/ এক ঘন্টা ব্রাউজিংয়ের সুযোগ পেতাম। পত্রিকা দেখতাম। ফেসবুকিং-এর শুরুটাও সেখানে। কোনো পত্রিকায় লেখা ছাপলেই শেয়ার করতাম। তখন দেখতাম শেয়ার করা লিংকগুলো এক হয়ে থাকে। কাউকে লেখা দেখানোর জন্য বলতাম এই লিংক অপশনে গেলেই অামার সব লেখা পেয়ে যাবেন।
দেখলাম কাউকে বলার জন্য ফেসবুক তেমন সুবিধার না। তখন একটা নিজস্ব ওয়েবসাইটের কথা ভাবতাম। মনে হতো সেটা অনেক কঠিন কিংবা অনেক দামি। পরবর্তীতে ব্লগস্পট সম্পর্কে জানলাম। সেখানে ব্লগ খুললাম। আমার প্রকাশিত ছোট ছোট লেখাগুলো সেখানে আপ করলাম। এরপর সামহোয়ারইনে ব্লগে আমার একাউন্টেও সেগুলো পোস্ট করতাম। অবশেষে এ বছর ২০১৩ এর শুরু থেকে শুরু করলাম এই সাইটে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত সকল পর্যায়ে ক্লাসমেট, বন্ধু, বড় ভাইসহ নানা জনের সহযোগিতায়ই এটা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াসিম ভাই, নেজাম ভাই, সোয়াদ আর শরীফের কথা বলতেই হবে।
সব লেখাই এখানে একত্রিত করার চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও কিছু লেখা হয়তো হারিয়ে গেছে। এ ছাড়া কিছু লেখা হয়তো একেবারেই ব্যক্তিগত। যেমন কাউকে চিঠি লিখেছি, কিংবা প্রিয় কারও জন্মদিনে নোট লিখেছি- এ রকম ব্যক্তিগত লেখা আপ করিনি। তবে এখানকার এই ২০০ পোস্টের মধ্যে অধিকাংশই সংবাদপত্রে প্রকাশিত। ছোট-বড় সব ধরণের লেখাই এখানে রয়েছে। অপ্রকাশিত লেখাও আছে যেগুলো কিছু ফেসবুকে নোট আকারে প্রকাশিত। কিছু কেবল এই সাইটের জন্যই লিখেছি। এ রকম লেখার সংখ্যা আরও বাড়বে আশা করি। ফেসবুকে আমার এক্টিভিটজ কম, সামহোয়ারসহ অন্যান্য ব্লগে একাউন্ট থাকলেও সেখানে আমি এখন অনুপস্থিত। ফলে আমার সক্রিয়তার জায়গা এখন এই সাইট। এখানে কিভাবে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু নিয়ে হাজির হওয়া যায়, সে চেষ্টা আমি করবো। ডাবল সেঞ্চুরির এই শিরোনাম নিশ্চয়ই আমাকে উদ্বুদ্ধ করবে।
- ছবি: ইন্টারনেট
congrats bro 🙂
Thanks Wasim vai
'স্বপ্নচারীর খেরোখাতা'য় আপনার ২০০তম লেখার জন্য অভিনন্দন! 🙂 আশা করি একদিন এটা ৪০০তম হবে। তখন আপনি ক্রিকেট বরপুত্র লারার রেকর্ডটি স্পর্শ করবেন। তিনি একবার ৪০০(নটআউট) করেছিলেন; যেটি টেস্টম্যাচের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। আর ৪০১ হলে লারার রেকর্ডও ভেঙে যাবে। বোধ করি লারা তাতে অখুশি হবেন না। কেননা তিনি জানবেন, যোগ্য লোকটিই তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন !
মাশাল্লা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ রানা ভাই যে হিসাব দেখাইলেন আমি যারপরনাই আনন্দিত। তয় কারও রেকর্ড ভাঙ্গাচুরার খেয়াল আমার নাই।
আপনার শুভাশীষের জন্য ধন্যবাদ।
Brother today through skype I got the reference of this site from you! I am really happy to get such types of link which definitely will cover the expectation of a reader like me.
My first reading article in this site is DOUBLE CENTURY. Mahfuz Vai I am really grateful for your continuous contributions!
Last time we met BYLC! I would love to meet this man to wish physically! Can I?
Thanks Mr. Mohammad Abdul Awal Sumon you surprised me. It is encouraging that you have gone through my website and posted a comment here after reading this Double century. Yes I can remember you, Sumon, and our time in BYLC. I cordially invite you to come in my office. Thank you again.
[…] ২০০তম পোস্ট হওয়া সংক্রান্ত ডাবল সেঞ্চুরি শিরোনামে একটা লেখা লিখেছিলাম। […]